আমাদের ২ দিন ১ রাতের শ্রীমঙ্গল ট্যুরে আমরা মাধবীলতা ইকো কটেজে থাকি যা শ্রীমঙ্গল টি এস্টেটের বেশ কাছেই। রিসোর্টটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরে। শ্রীমঙ্গলের অনেক রিসোর্টের মধ্যে, আমরা মাধবীলতা ইকো রিসোর্টে থাকার সিদ্ধান্ত নেই কারণ আমরা দেখি যে এই রিসোর্টটির চারপাশ বেশ সুন্দর প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা। রিসোর্টের মধ্যেও রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া।
শ্রীমঙ্গলকে বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী বলা হয়। সুন্দর চা বাগানের পাশাপাশি এখানে রয়েছে মাধভপুর লেক, লাউয়াছড়া এবং নীলকণ্ঠ চায়ের কেবিন। আমাদের ১ম দিনের ট্যুর প্ল্যানে, আমরা আশেপাশের এই জায়গাগুলো ঘুরে দেখি। দ্বিতীয় দিনে আমরা যাই হামহাম ঝর্ণা দেখতে যা ছিলো অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।
আমরা ট্যুরের আগে মাধবীলতা ইকো রিসোর্টে যোগাযোগ করে তাদের মেঘপাহাড় কটেজ বুক করেছিলাম যা বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে তৈরি খুবই সুন্দর একটা কটেজ। অন্যান্য শ্রীমঙ্গল রিসোর্টগুলির মধ্যে, আমি মনে করি এটি খুবই ইউনিক একটি রিসোর্ট যার মধ্যে এরকম কাঠের তৈরি ঘর রয়েছে। সবগুলো কটেজের মধ্যে এই কাঠের কুটিরটি ছিল মাধবীলতা রিসোর্টের সেরা কটেজ। যদিও আয়নাঘর দেখতে খুব সুন্দর, তবুও আমরা ভেবেছিলাম মেঘপাহাড় এর মধ্যে অন্যরকম একটা ব্যাপার আছে। যদিও গ্রীষ্মের মৌসুমে, অন্যান্য কটেজগুলো ভালো অপশন হতে পারে কারণ এইটিতে কোন এসি নেই।
আর কাঠের তৈরি কটেজ হলেও আপনি ভিতরে খুব ভালো মানের ওয়াশরুম পাবেন। আমরা রিসোর্টে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে আমাদের ট্যুর প্ল্যান মত আমাদের শ্রীমঙ্গল ট্রিপ শুরু করি। আমরা একটি অটো নিয়ে নুরজাহান চা স্টেট, লাউয়াছড়া বন, নীলকণ্ঠ চা কেবিন এবং স্থানীয় হস্তশিল্পের দোকান এসব ঘুরে আসি।